আনিকা তাবাচ্ছুম: প্রস্তর যুগে হিংস্র পশুদের হাত থেকে জীবন রক্ষা ও খাদ্য সংগ্রহের জন্য মানুষ যখন পাথর ভেঙে বিভিন্ন হাতিয়ার তৈরি করল তখন থেকেই মূলত প্রযুক্তির ধারণাটির সৃষ্টি। বর্তমানে মানব সমাজে প্রযুক্তি হল বিজ্ঞান এবং প্রকৌশলের একটি আবশ্যিক ক্ষেত্র। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে কৃষি কাজ সব ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। প্রযুক্তির বিভিন্ন শাখা একবিংশ শতকের প্রায় প্রতিটি দিককে প্রভাবিত করে রেখেছে। পরিবহন খাত, সামাজিক নিরাপত্তা থেকে শুরু করে খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিকীকরণ এমনকি কৃষিকাজ পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি থেকে প্রাপ্ত সেবাগুলো বিরাজমান।যদিও কিছু প্রযুক্তির অত্যাধিক ব্যবহার মানসিক স্বাস্থ্য হ্রাস, সামাজিক বিভাজন বৃদ্ধি এমনকি গোপনীয়তার উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে তবে এর থেকে প্রাপ্তির পাল্লাটাই বেশি ভারি।পৃথিবীর প্রতিটা দেশের বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা খাত, স্বাস্থ্যখাত, বিনোদন খাত, শিক্ষাখাত, যোগাযোগ খাত সহ সকল পর্যায়ে প্রযুক্তির কল্যাণে বিগত তিনদশকে আমূল পরিবর্তন এসেছে।এছাড়াও জীবনযাত্রার মান বেড়েছে, সময় ও শ্রম সাশ্রয় হচ্ছে।
এর ব্যতিক্রম ঘটেনি গ্রন্থাগার খাতেও। বলা হয় তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন মানে গ্রন্থাগার খাতের উন্নয়ন। বিগত কয়েক শতক ধরে তথ্যপ্রযুক্তি যেমন উন্নত হয়েছে এরই হাতধরে গ্রন্থাগার গুলো অভাবনীয় উন্নতি সাধন করেছে।
যেমন ধরুন একটা সময়ে প্রিয় লেখকের বই পড়া কিংবা সংগ্রহের জন্য আপনি গ্রন্থাগারে যেতে চান, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আপনি প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করেন। দূরবর্তী গ্রন্থাগারে গিয়ে বই পড়া বা সেই বইটি বাসায় বয়ে আনা এবং পরবর্তীতে তা ফেরত দেয়া এই সম্পূর্ণ কার্যক্রমটি সম্পাদন করতে কিন্তু অবশ্যই আপনার অর্থ, সময় ও শ্রম তিনটিই অপচয় হত। কিন্তু এখন ঘরে বসেই বই পড়া যায়, পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে বসে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী বই পড়তে পারবেন। এছাড়াও গ্রন্থাগার গুলো যে কতো বেশি উন্নয়ন সাধন করেছে তা আসলে একটি ছোট আর্টিকেল এর মাধ্যমে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
প্রযুক্তির কারণে গ্রন্থাগারের বাইরের সেবাগুলোর মান যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিক তেমনি গ্রন্থাগারের আভ্যন্তরীণ কাজগুলোও অনেক সহজতর ও নিখুঁত হয়েছে৷ আপাতদৃষ্টিতে গ্রন্থাগারের আভ্যন্তরীণ কাজগুলোর আধুনিকায়ন হলেই গ্রন্থাগার সেবার মান বৃদ্ধি পায়। বর্তমান সময়ের গ্রন্থাগার ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও প্রযুক্তি ব্যবহারের অভ্যাস গ্রহণ করছে। যেমন কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ওয়েব, ইন্ট্রানেট, এক্সট্রানেট এবং অন্যান্য প্রযুক্তি। এর ফলে গ্রন্থাগার ব্যবহারকারীরা তাদের নতুন চাহিদা সম্পর্কে গ্রন্থাগার গুলোকে অবগত করতে সক্ষম হয় ও সর্বশেষ তথ্য, আপডেটেড তথ্য এবং আইসিটি নির্ভর সুবিধাগুলিতে অ্যাক্সেসের সুযোগ পায়।
গ্রন্থাগারে প্রযুক্তির ব্যবহার গ্রন্থাগার কর্মী ও ব্যবহারকারীর অনেক সুবিধা প্রদান করে। এর মধ্যে কিছু সুবিধা হল-
- দ্রুত ও সহজে তথ্যের অ্যাক্সেস প্রদান করা যায়।
- বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত অসংখ্য তথ্যের অ্যাক্সেস একই সময় একাধিক ব্যবহারকারীদের প্রদান করা যায়।
- তথ্যের নমনীয়তা প্রদান করা যায় এবং যে কোনো ব্যক্তি দ্বারা ব্যবহার করার সুযোগ বৃদ্ধি করা যায়।
- বিভিন্ন উৎস থেকে ডেটা পুনঃফর্ম্যাটিং করার সুবিধা পাওয়া যায়।
গ্রন্থাগার কর্তৃক প্রদত্ত সেবা গুলোর মধ্যে এখন অধিকাংশ সেবাই প্রযুক্তিনির্ভর। প্রযুক্তিনির্ভর সেবার গুলোর মধ্যে অন্যতম হল –
ওয়েব-ভিত্তিক অনলাইন পাবলিক অ্যাক্সেস ক্যাটালগ (ওয়েব-ওপ্যাক):
এটি একটি ইন্টারনেট এবং ওয়েব-ভিত্তিক প্রযুক্তি যা বিশ্বব্যাপী তাদের ক্যাটালগগুলিতে অ্যাক্সেস প্রদান করে। এটি ব্যবহারকারীদের বিশ্বের যে কোনো স্থান থেকে তথ্য অ্যাক্সেস করতে সাহায্য করে। ব্যবহারকারীরাও বিভিন্ন গ্রন্থাগার সিস্টেম থেকে OPAC এর নিয়মাবলি শিখতে এবং সেগুলো ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। OPAC বই, জার্নাল, সংবাদপত্র, ই-বুক ইত্যাদির মতো সংস্থানগুলির অনলাইন লাইব্রেরি ডাটাবেসকে প্রদর্শন করে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা OPAC-এর সাথে যে কোন গ্রন্থাগার থেকে যে কোন সময় যে কোন বইয়ের পাশাপাশি ই-কন্টেন্টে প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যাক্সেস পেতে পারে৷
ডিজিটাল গ্রন্থাগার সেবা :
ডিজিটাল গ্রন্থাগার বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল তথ্যের উৎস প্রদান করে। ব্যবহারকারী দূরবর্তীভাবে তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারে এবং তথ্য সংস্থান গুলোতে অ্যাক্সেস সরবরাহ করে। এর সুবিধা হল এটি বিভিন্ন ভাষার বিষয়বস্তু পরিচালনা করার ক্ষমতা রাখে। ডিজিটাল গ্রন্থাগারগুলো ডিজিটাল সংগ্রহের সমন্বয়ে গঠিত হয় যার মধ্যে রয়েছে গ্রন্থপঞ্জী সংক্রান্ত রেকর্ড, সূচীপত্রের মতো নথিপত্র, পূর্ণ-পাঠ্য নথি, ভিডিও, ছবি যার মধ্যে কিছু মুদ্রণ আকারে উপস্থাপিত হয় ও বিতরণ করা যায় না। বেশিরভাগ দেশে জাতীয় গ্রন্থাগারগুলো রাজধানী শহরে অবস্থিত এবং তাই তাদের সংস্থানগুলিতে অ্যাক্সেস মূলত তাদের জন্য সীমাবদ্ধ থাকে যারা রাজধানী শহরে ভ্রমণ করতে পারে৷ তবে এই প্রতিবন্ধকতাটি দূর হয়েছে ডিজিটাল গ্রন্থাগারের মাধ্যমে। যেকোনো স্থানে বসেই এখন গ্রন্থাগার গুলোতে অ্যাক্সেস করা যায়।
ইলেকট্রনিক ডকুমেন্ট ডেলিভারি সার্ভিস:
গ্রন্থাগারগুলো নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আইসিটি-ভিত্তিক আন্তগ্রন্থাগার-ধার বাস্তবায়ন করছে। জার্নাল, আর্টিকেল এবং অন্যান্য ডকুমেন্টের কপি ডিজিটাল ফরম্যাটে যেমন পিডিএফ এ রূপান্তর করে ব্যবহারকারীদের ডেস্কটপে সরবরাহ করা হয় আর এটিকেই বলা হয় ইলেকট্রনিক ডকুমেন্ট ডেলিভারি সার্ভিস। এটি ব্যবহারকারীদের তথ্য অ্যাক্সেস করতে সহায়তা করে যেসব তথ্য গুলো একটি গ্রন্থাগারে নয় বরং একাধিক গ্রন্থাগারের সমন্বয়ে তৈরি। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য সবচেয়ে দরকারী সেবাগুলোর মধ্যে একটি বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের গবেষকদের জন্য।
অডিও-ভিজ্যুয়াল পরিষেবা:
অডিও-ভিজ্যুয়াল উপকরণ গুলো হলো তথ্য, শিক্ষা এবং বিনোদনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। অনেক গ্রন্থাগার বিশেষ করে মিডিয়া গ্রন্থাগার এবং বড় একাডেমিক ও পাবলিক গ্রন্থাগারে বিভিন্ন অডিওভিজ্যুয়াল উপাদান যেমন মিউজিক, ফিল্ম, ছবি এবং ফটোগ্রাফ ইত্যাদি থাকে। অনেক গুলো গ্রন্থাগার তাদের সদস্যদের নিকট এই উপকরণ গুলো ধার দেয়। যার ফলে ব্যবহারকারীরা ঘরে বসেও এই উপকরণগুলো ব্যবহার করে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন। এছাড়াও কুইক টাইম প্লেয়ার, মাইক্রোসফট মিডিয়া প্লেয়ার ইত্যাদি সফটওয়্যারের সাহায্যে গ্রন্থাগারে বসেও অডিও-ভিজ্যুয়াল উপকরণ ব্যবহার করা যায়।
পাঠকদের পরামর্শ এবং ই-রেফারেন্স সেবা:
গ্রন্থাগার ও তথ্যকেন্দ্র গুলোতে পাঠকদের উপদেষ্টা সেবা এবং রেফারেন্স সেবা গুলোর ওয়েব-ভিত্তিক সংস্করণ সরবরাহ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বর্তমানে। এর মধ্যে রয়েছে ওয়েবের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদেরকে নতুন প্রকাশ বা গ্রন্থাগার সংগ্রহের সংযোজন সম্পর্কে অবহিত করা, তথ্যের নির্বাচনী অর্থাৎ SDI প্রচার, এবং পাঠকদের জন্য রেফারেন্স কর্মীদের (ভার্চুয়াল রেফারেন্স ডেস্ক) সাথে যোগাযোগ করার সুবিধা ইত্যাদি।
ইলেক্ট্রনিক থিসিস এবং গবেষণাপত্র সেবা :
প্রাতিষ্ঠানিক ভান্ডারের সাথে সম্পর্কিত, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারগুলোতে, ইলেকট্রনিক থিসিস এর পূর্ণ-পাঠ্য অনুলিপিগুলোতে অ্যাক্সেসের সুযোগ চালু করে দেয়া হচ্ছে। থিসিস এবং গবেষণামূলক প্রবন্ধগুলির সম্পূর্ণ-টেক্সট কপি অ্যাক্সেস দেয়ার ফলে গবেষণার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ইলেকট্রনিক বই পরিষেবা:
একাডেমিক গ্রন্থাগারগুলোতে ই-বুক ব্যবহারের প্রচলন সবচেয়ে বেশি। এই সেবার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী দিন রাত ২৪ ঘন্টা তথ্য অ্যাক্সেস করা যায় এবং ব্যববহারকারীরা দ্রুত এবং কার্যকরভাবে নির্দিষ্ট গবেষণা সামগ্রী পুনরুদ্ধার এবং অ্যাক্সেস করতে পারে।
নথি স্ক্যানিং সেবা:
গ্রন্থাগারের আধুনিকায়নে স্ক্যানার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি।ব্যবহারকারীরা যেন এটি ব্যবহার করে বইয়ের পাঠ্য, চিত্র এবং বিষয়বস্তুর পৃষ্ঠাগুলোকে স্ক্যান করে নিজেদের কাছে সংরক্ষণ করতে পারে সে বিষয়ে গ্রন্থাগারগুলো যাবতীয় সহযোগিতা করে থাকে।
লাইব্রেরি নেটওয়ার্ক সেবা:
নেটওয়ার্কের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল কম্পিউটার এবং অন্যান্য যোগাযোগ যন্ত্রগুলোর মধ্যে আন্তঃসংযোগ তৈরি করা যার ফলে ডাটা তাৎক্ষণিকভাবে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা যায়। গ্রন্থাগারেও এই নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে গ্রন্থাগার হাউসকিপিং এবং রিসোর্স শেয়ারিং সেবা প্রদান করা হয়৷ এতে করে একটি শহর কিংবা একটি দেশের সকল গ্রন্থাগারগুলো একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে।
ওপেন সোর্স সফটওয়্যার সেবা:
গ্রন্থাগারে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার সেবা হলো এমন এক ধরনের সেবা যার মাধ্যমে গ্রন্থাগার ব্যবহারকারীদের জন্য কম্পিউটার সফটওয়্যার গুলোকে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। বিগত কয়েক বছরে ওপেন সোর্স জগতে বেশ কিছু গ্রন্থাগার বিষয়ক সফটওয়্যার তৈরি হয়েছে। ইন্টিগ্রেটেড লাইব্রেরি সিস্টেম যেমন কোহা; ডিজিটাল লাইব্রেরি সফ্টওয়্যার, যেমন গ্রিনস্টোন; ডিজিটাল রিপোজিটরি সফটওয়্যার, যেমন DSpace; কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, যেমন মুডল, ইত্যাদি।
Ask-A-Librarian সেবা:
এই সেবাগুলো হলো একধরনের ইন্টারনেট-ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর সেবা যা ব্যবহারকারীদের এমন একজন বা একাধিক ব্যক্তির সাথে সংযুক্ত করে যারা নির্দিষ্ট বিষয়ের জ্ঞান এবং নির্ভুল অনুসন্ধান পরিচালনার ক্ষেত্রে অধিক দক্ষতার অধিকারী। বেশিরভাগ “আস্ক-এ-লাইব্রেরিয়ান” সেবাতে একটি ওয়েব-ভিত্তিক প্রশ্ন জমা দেওয়ার ফর্ম বা একটি ই-মেইল বা উভয়ই থাকে৷ ব্যবহারকারীদের ওয়েব ফর্ম ব্যবহার করে বা ই-মেইলের মাধ্যমে তাদের প্রশ্ন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।
উপরে উল্লেখিত প্রতিটি সেবা দ্বারাই গ্রন্থাগারের ব্যবহারকারীরা উপকৃত হয়ে থাকেন। বর্তমানে ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রনিক যোগাযোগ এবং কম্পিউটার প্রযুক্তির উন্নয়নের হার অত্যন্ত উচ্চ। প্রযুক্তির উৎকর্ষের ফলে জ্ঞানের প্রতিটি শাখায় কল্পনাতীত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ষাটের দশকের উপগ্রহ যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে সূচনা হয় বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তিগুলো জীবনকে এত বেশি পরিবর্তন করেছে যা প্রতিটা খাতে লক্ষণীয়। ফাইবার অপটিক ক্যাবল আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এর কল্যাণে আন্ত গ্রন্থাগার সেবার মান যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি গ্রন্থাগারের আভ্যন্তরীণ প্রত্যেকটি সেবায় আমূল পরিবর্তন এসেছে।
সনাতন পন্থায় গ্রন্থাগার সেবা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে লিটারেচার সার্চে প্রচুর সময় অপচয় হতো। এমনকি অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরও প্রয়োজনীয় তথ্যের কোন গ্রহণযোগ্য মাধ্যম পাওয়া যেত না। কিন্তু বর্তমান সময়ের গ্রন্থাগারগুলো প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সকল বাঁধা অতিক্রম করে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও বিতরণ অতি দ্রুত গতিতে করা সম্ভব হচ্ছে। গ্রন্থাগারের তথ্য সংগ্রহ ও পুনরুদ্ধার করার ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির কাছে সকল গ্রন্থাগার ও গ্রন্থাগারিকগণ ঋণী।